মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: স্বামীর বাড়িতে ফিরে যেতে দুইবছরের একমাত্র শিশু কন্যাকে নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ গ্রাম্য মাতুব্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রবাসীর অসহায় গৃহবধূ মরিয়ম বেগম। স্বামী প্রবাসে থাকায় শ্বাশুড়ি ও ননদ গৃহবধূ মরিয়মকে শারিরিক নির্যাতন করে সন্তানসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
পরবর্তীতে উল্টো গৃহবধূ মরিয়ম বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে নাটকীয়ভাবে চুরির মামলা দায়েরের পর ডাকযোগে একটি তালাকনামা পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বাঘার গ্রামের। একই উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের পশ্চিম বাউরগাতি গ্রামের বাসিন্দা হাসান কাজী জানান, বিগম পাঁচবছর পূর্বে তার কন্যা মরিয়মের সাথে সামাজিকভাবে বাঘার গ্রামের মোঃ খেলাফত সরদারের পুত্র কাতার প্রবাসী ইলিয়াস হোসেন টিপুর বিয়ে হয়।
হাসান কাজী আরও জানান, তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন। মরিয়মের বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই টিপু কাতারে গাড়ি ক্রয় ও লাইসেন্স করার জন্য তার কাছে থেকে পাঁচ লাখ টাকা ধার নেয়। সম্প্রতি সময়ে তিনি ধারের টাকা ফেরত চাওয়ায় মরিয়মের ওপর শারিরিক নির্যাতন শুরু করে তার শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি ও ননদ।
গত কয়েকদিন পূর্বে মরিয়মের ননদ মৌসুমী বেগম ও তার জামাতা বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ কনস্টবল সোহাগ সালাউদ্দিন কৌশলে শিশু সন্তানসহ মরিয়মকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ কনস্টবল সোহাগ সালাউদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে তার শ্বশুরকে বাদি করে মরিয়মের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যে চুরির মামলা দায়ের করায়।
আদালত ওই মামলার তদন্ত দেয় মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে। ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ জানান, দুই পক্ষের উপস্থিতে আদালতে দায়ের করা মামলাটি মিথ্যে প্রমানিত হয়েছে। এছাড়া প্রবাসী টিপুর বাবা, মা, বোন ও তার জামাতা মরিয়মের বাবার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ধার নেয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, টিপু কাতার থেকে আসলে টাকা ফেরত দেয়া হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও জানান, বিষয়টি সমাধান করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও প্রবাসী টিপুর স্বজনরা গৃহবধূ মরিয়ম বেগমকে ঘরে তুলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। অসহায় গৃহবধূ মরিয়ম বেগম জানান, নির্যাতনের পর শিশু সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে উল্টো আদালতে মিথ্যে মামলা দায়ের করেও ক্ষ্যান্ত হননি তার শ্বশুড় পরিবারের লোকজন।
তার (মরিয়ম) স্বামী বিদেশে থাকাা সত্বেও মঙ্গলবার ডাকযোগে একটি তালাকনামা পাঠানো হয়েছে। এতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরেছেন। শিশু সন্তানসহ স্বামীর বাড়িতে ফিরে যেতে তিনি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply